top of page

Baba and East Bengal Club!


ree



ree

সেই ছেলেবেলা থেকে দেখা বাবার ভালোবাসা ফুটবলের প্রতি। আরো বিশেষ ভাবে East Bengal FC র প্রতি। ভালোবাসা যেতা অনেক সময় পাগলামি ও মনে হতে পারে। যেমন ম্যাচ থাকলে কোন প্ল্যান বাতিল করে দেয়া বা ম্যাচের সময় চুপ চাপ বসে থাকা। কখন আবার খেলা দেখতে দেখতে চিৎকার করে ওঠা। মা বলে যত সব বোকা পাগলামি। তবে আমাদের সব ভালোবাসা কেই পাগলামি র নাম দেয়া হয়ে। সে আর নতুন কি? ভালোবাসা থাকলে পাগলামি টা হতেই হয়। তো তাই সই। শুনেছি নাকি বাবা নিজের স্কুলে খুব ভাল ফুটবল খেলত, ডিফেন্ডার। চোখে পাওয়ার আসাতে আর খেলা চালিয়ে যেতে পারল না। সে যদি আজ হত তাহলে দিব্যি খেলা চালিয়ে যেতে পারত, কারণ সেই সময়ে মেডিক্যাল উন্নতি অতোটা এখানে আসে নি।


ree


অনেক দিন ধরেই বাবা বলছিল যে আমাকে নাকি East Bengal Club এ নিয়ে যাবে। শেষ মেশ আজ যাওয়া হল এই ১০০ বছর পুরোনো ক্লাবে এ। এই ক্লাবের সাথে বাবার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে! একসাথে বন্ধুদের সাথে খেলা দেখা আর কি না....


শুরু থেকেই পড়াশোনা আমার বাইরে। কলকাতা এ বড় হলে হয়ত আরও ভাল বুঝতাম East Bengal আর Mohan Bagan এর লড়াই টা। তবে তাও ভালোই বুঝি, বাবার কৃপায়। বেশ মজার ই রেশা রেশি...  East Bengal না Mohan Bagan, বাঙাল না ঘোটি, ইলিশ না চিংড়ি.....


ree

তবে East Bengal এর প্রতি এই আনুগত্য পারিবারিক।  আমরা হইলাম ওই পুর্ব বাংলার বাসিন্দা, খাঁতি বাঙাল। তাই অনিবার্য ভাবেই East Bengal এর সমর্থক। কিন্ত আমার বরাবরই আন্তর্জাতিক ফুটবলের দিকে বেশি আকর্ষণ। তাও ছিল না কিন্ত সে বাবার ঠেলাঠেলি তে দেখা শুরু করেছিলাম ২০১০ সাল এ, আর তবে থেকেই বরাবর উৎসাহ টা রয়ে গেছে। বাবা East Bengal এর খেলা ও দেখাতে চেয়েছিল, কিন্ত টি আর হয়ে ওঠে নাই। 


ree

যদিও সেই ক্লাব আর সেই রকম নেই। এক সময়ে এক নম্বর ক্লাব ছিল।  একের পর এক খেলা জিতিয়া গেছে। সে নিও আবার বাবার দু:খ।


যাই হোক! তবে যদি আমায় কেউ জিজ্ঞেস করে যে কোন দল কে সমর্থন করি, তাহলে নির্ভাবনায়ে বলিব East Bengal! পারিবারিক প্রথা বলে কথা।


ree


Photography and Written- Hridi

Comments


bottom of page